ওঁ অজ্ঞান-তিমিরান্দ্বস্য জ্ঞানাঞ্জনশলাকায়া
চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ
যিনি জ্ঞানাঞ্জনশলাকায় অজ্ঞান-তিমিরাচ্ছন্ন অন্ধজনের চক্ষুরুন্মীলিত করিয়া দেন সর্ব্বপ্রথমে সেই শ্রীগুরুর শ্রীপাদপদ্মে সাষ্টাঙ্গে প্রণিপাত করিতেছি।
আপনাদের সকলকে শ্রীশ্রী কৈবল্যধাম আশ্রমে স্বাগতম।
এই ধাম/আশ্রমটি হইল এমন একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্র যেখানে যে কোনো ধর্মবিশ্বাসী বা একেবারেই বিশ্বাস নাই এমন মানুষও প্রতিফলিত হইতে, প্রশ্ন করিতে, আলোচনা শুনিতে, প্রার্থনা করিতে, হরিনাম করিতে / শুনিতে, ধ্যান, জ্ঞান এবং নিজেকে পরের সেবায় উৎসর্গ করিতে আসেন।
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্রদেব হইলেন এই আশ্রমের অভিভাবক। মরভূমের বিষম বিপাক হইতে স্বগণকে উদ্ধার করিয়া লইবার জন্যই লোকালয়ে প্রকট হইয়াছিলেন ভগবানের অবতার পরম দয়াল শ্রীশ্রী রামঠাকুর। নরদেহে আবির্ভূত হইয়া জীবের পরম হিতৈষীর মূর্ত্তিতে স্বগণের গৃহে গৃহে, নিকটে নিকটে ঘুরিয়া সকলকে একান্ত আপন জন হিসাবে আকর্ষণ করিয়া প্রাণের ডোরে নিত্য সত্য ভগবৎপদে গাঁথিয়া নিয়াছেন; অনিত্য সংসারের ভ্রান্ত আসক্তি হইতে উদ্ধারের পথে টানিয়া লইয়াছেন।
শ্রীশ্রী গুরুদেব অনাদি, অনন্ত। প্রকটলীলা সংবরণ করিয়া ভক্ত হৃদয়ে তিনি ‘নাম’ রূপে নিত্য বিরাজ করিতেছেন, চিত্রপটে নিত্য অধিষ্ঠিত রহিয়াছেন এবং নামের ভান্ডারে নিত্য প্রতিভাত থাকিয়া কৈবল্যধামে সর্ব্বকালের কৃপ্রার্থীর আশ্রয় বিধান অব্যাহত রাখিয়াছেন। শ্রীগুরুর স্মরণ মননে প্রেরণার উৎস স্বরূপ হইতে এখানি আশ্রিতবর্গের সহায়ক হইবে বলিয়া মনে করি।