অধ্যাপক ँপ্রভাতচন্দ্র চক্রবর্তী এম.এ.পি.আর.এস; পি.এইচ.ডি.লিখিত
(১)
আজ তাঁহার কথা বলিতে যাইতেছি। দুঃখের বিষয়, তাঁহার কথা বুঝি নাই- বুঝিবার মত সামর্থ্যও নাই। সে মানুষটিকে যেমন সহজে ধরা যায় না, তাঁহার মুখের কথাও তেমন শুধু শুনিয়াই ধারণা করা যায় না। আমরা না বুঝিয়াছি সে মানুষটিকে না বুঝিয়াছি তাঁহার কথা। যে সাধনা ও একাগ্রতা থাকিলে তাঁহার কথার নিগূঢ় তাৎপর্য্য হৃদয়ঙ্গম করা যায় – তাঁহার প্রকৃত তত্ত্ব মনের সামনে ফুটাইয়া তুলিতে পারা যায় তাহা যে আমাদের নাই। যাঁহার বাল্যবধি সমগ্র জীবনটাই রহস্যময় এবং সাধারণ বুদ্ধির অগম্য, তাঁহার কথার মধ্যেও যে আমাদের না বুঝিরার মত অনেক কিছু থাকিবে তাহাতে আর আশ্চর্য্য কি! কাজেই আশঙ্কা হয়, – তাঁহার কথা বলিতে গিয়া বোধ হয় অজ্ঞানতাবশতঃ শেষে আমাদের কথাই বলিয়া বসিব। বুঝা না বুঝা লইয়াই বা এত কেন? তিনি তো বলেন, একেবারে কিছু না বুঝিতে পারাই সব চেয়ে ভাল বুঝা। অজ্ঞানই প্রকৃত জ্ঞান।
(২)
আমাদের বাংলা দেশের কোনও একখানি অপ্রসিদ্ধ গ্রামে তিনি একদিন জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। বোধহয় সেই দিনটি শুভদিনই হইবে। তাঁহার জনক ও জননী উভয়েই বড় ভাল মানুষ ছিলেন। আচার, নিষ্ঠা ও ধর্মপরায়ণতায় সাক্ষাৎ দেবদেবীর মত। পিতামাতা ভাল না হইলে তাঁহাদের সন্তান এমন হইবে কেন। তিনি কিন্তু শিশুকাল হইতেই যেন একটু কেমন কেমন প্রকৃতির ছিলেন। ভবিষ্যৎ জীবনে যাহা হইয়াছেন, তাহার সূচনা ছোট বেলায় খেলাধূলার মধ্যেই বেশ ফুটিয়া উঠিয়াছিল। লেখা পড়ার জন্য পিতামাতার যে কত দূর উৎসাহ ছিল তাহা জানি না, তবে বালকেরও যে তেমন আগ্রহ ছিল না ইহা ধ্রুব সত্য। লোকে বলে যে, বোধোদয় পড়িবার সময়ই নাকি তাঁহার বোধের উদয় হইয়াছিল এবং সেই সঙ্গে পঠদ্দশারও অন্ত হইয়াছিল। ভোজনে ও স্নানাদি দৈহিক ব্যাপারে তাঁহার বরাবরই যথেষ্ট ঔদাসীন্য ছিল, কিন্তু খেলাধূলায় মনোযোগের বিশেষ অভাব ছিল বলিয়া শুনা যায় না।
(৩)
স্বভাবের শিশু স্বভাবের কোলেই বর্দ্ধিত হইতে লাগিল। জীবনের পথ প্রদর্শনের জন্য কাহারও অপেক্ষা ছিল না। স্বভাবে অবস্থান করিয়া তিনি এমন কিছু লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, যাহার দ্বারা কখনই তাঁহার অভাব বা স্বভাবের প্রচ্যুতি ঘটিতে পারে নাই। শত সহস্র অভাবের মধ্যে পড়িয়াও স্বভাবকে আঁকড়াইয়া ধরিয়া থাকাই ছিল তাঁহার জীবনের মূল মন্ত্র। অবিচলিত ভাবে অভাবের বেগ সহ্য করাই হইল তাঁহার সাধনার মূল ভিত্তি। প্রবৃত্তির গজ-কচ্ছপের যুদ্ধের মধ্যে যিনি নিরপেক্ষ ভাবে দাঁড়াইয়া থাকিতে পারেন তিনিই প্রকৃত যোগী – তিনিই প্রকৃত সিদ্ধ।
(8)
বালক ক্রমে ক্রমে যৌবনের সীমায় পদার্পণ করিল। আপনা হইতেই তাঁহার যোগাভ্যাস হইতে লাগিল। তারপর একদিন গুরুদেব আসিয়া উপস্থিত তেজোদীপ্ত কলেবর মহাপুরুষ। এক দিকে চিন্ময় রাজ্যের বিরাট পুরুষ অপর দিকে স্বভাবসিদ্ধ তরুণ শিষ্য। উভয়ের মিলনে অপূর্ব্ব প্রীতির সঞ্চার হইল আনন্দের পত মন্দাকিনী প্রবাহিত হইল। জন্মান্তরীয় সংস্কারবলে তাঁহার দিব্য জ্ঞানোন্মেষ হইতে বিলম্ব হইল না। অল্পায়াসেই তাঁহার হৃদয় মণিমণ্ডপের দ্বার খুলিয়া গেল। জাতিস্মরের ন্যায় তখন তাঁহার পূর্ব্ব পূর্ব্ব জন্মবৃত্তান্ত স্মরণ হইতে লাগিল। সদ্গুরুর কৃপালাভ হইলে এইরূপই হইয়া থাকে।
(৫)
স্বপ্নযোগে একদিন সিদ্ধমন্ত্র লাভ হইল। ইহার পর হইতেই তীব্র তপস্যার আরম্ভ। আজও বুঝি সে তপশ্চৰ্য্যার অবসান হয় নাই। কঠোর সাধনা না করিলে পরমার্থ লাভ হইবে কেন? তারপর দীর্ঘকালের জন্য সাধারণের নিকট অদৃশ্য হইলেন। পর্ব্বতে পর্ব্বতে, অরণ্যে অরণ্যে, বহু পথ অতিক্রম করিলেন; অনেক দুর্গম তীর্থ দর্শন করিলেন এবং যাঁহারা লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকিয়া গভীর সাধনায় নিমগ্ন আছেন এই প্রকার বহু মহাত্মার সাক্ষাৎকার লাভ হইল। জীবন ধন্য হইল সাধনায় সিদ্ধিলাভ হইল। কামনা বাসনাগুলি পুড়িয়া ছাই হইয়া গেল। এখন হইতে অধিকাংশ সময়ই অপ্রকৃত রাজ্যে বাস করিতে লাগিলেন। ইহাই বুঝি জীবন্মুক্তের অবস্থা!
(৬)
শরীর ও মনের এখন ভিন্ন অবস্থা। বাল্য ও যৌবনকে বহু দূরে ফেলিয়া তিনি এখন বার্দ্ধক্যের দশায় আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন। কিন্তু শৈশব অপগত হইলেও বালভাব একেবারে দূর হয় নাই এবং বালকোচিত মাধুর্য্যেরও বিলোপ হয় নাই; বরং পাকিয়া আরও রসাল হইয়াছে। মূর্তিটিও পূর্ব্বের ন্যায় তেমনই সুন্দর তেমনই মধুর তেমনই চিত্তাকর্ষক বলিয়া আজও প্রতীত হয়। ভাবের বিন্দুমাত্রও পরিবর্তন ঘটে নাই। পূর্ব্বে যেমন ছিলেন আজও ঠিক তেমনই আছেন। শাস্ত্র বলে- স্বভাবের নাশ হয় না। হে সুন্দর, হে মধুর, চিরদিনই যেন তোমার মধুর মূর্তি হৃদয়ে জাগিয়া থাকে। তোমার মধুর ভাবে সর্ব্বদাই যেন আমার চিরচঞ্চল চিত্তকে আনন্দসাগরে ডুবাইয়া রাখে।
(৭)
এখন জীবহিতৈষণা। জীবের দশা মলিন দেখিয়া, ভগবৎবিমুখ দেখিয়া, তাঁহার করুণার্দ্র হৃদয় বড়ই ব্যথিত। কিসে জীবজগতের মঙ্গল হইবে, কি উপায়ে অসত্যের বন্ধন উন্মোচন করিয়া শুদ্ধ সত্যকে লাভ করিয়া জীবগণ পরম পুরুষার্থ বা পরিত্রাণ লাভ করিবে ইহাই এখন ভাবনার বিষয়। তিনি বলেন মিথ্যার আবরণে শুদ্ধ সত্য অবগুণ্ঠিত রহিয়াছে ঘন নিবিড় মেঘজালে স্বপ্রকাশ আদিত্যদেব সমাচ্ছন্ন রহিয়াছেন। মায়ার ইন্দ্রজাল ছিন্ন করিয়া শুদ্ধ সত্যকে উদ্ধার করাই পরম ধর্ম। জীব আপনার স্বরূপ ও স্বভাব ভুলিয়া দুঃখপঙ্কে নিমগ্ন হইয়াছে। এই মহাসত্য প্রচার করিবার জন্যই তিনি কাঙ্গালের বেশে সকলের দ্বারে দ্বারে ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন। তাঁহার উদ্দেশ্য কেহই বড় বুঝিতে পারিল না। যাহারা কিছু বুঝিল তাহারাও আপনাদের কর্মদোষে কিছুই করিয়া উঠিতে পারিল না। যাহারা তাঁহার নিতান্ত আপনার জন তাহাদের হৃদয়ভূমিতে ধর্মের বিশুদ্ধ বীজ বপন করাই বোধ হয় তাঁহার সময়োচিত কর্তব্য।
(৮)
তাঁহার উপদেশবাণী অতিশয় গভীরার্থব্যঞ্জক। এই উপদেশের সহিত ভারতের চিরাগত শাস্ত্রীয় বচন বা ঋষিবাক্যের কোনও বিরোধ নাই, বরং প্রতি পদে বিশেষ সামঞ্জস্যই পরিলক্ষিত হয়। উপনিষদ্ ও গীতার উদাত্ত গম্ভীর উপদেশের সারাংশই তিনি সহজ ভাষায় ও অল্প কথায় বলিয়া থাকেন। নিজের জীবনে, নিজের দীর্ঘ সাধনার ফলে যাহা পরম সত্য বলিয়া অনুভব করিতে পারিয়াছেন, তাহাই সাধারণকে, বিশেষতঃ আপনার জনকে, বুঝাইতে চেষ্টা করেন। চিত্তের একাগ্রতাবলে কেমন করিয়া সাবিত্রী কালের কবল হইতে সত্যকে উদ্ধার করিয়াছিলেন; ভগবানের শ্রীচরণে আত্মসমর্পণ করিয়া, আপনার কর্তৃত্বাভিমান বিসর্জন করিয়া কি উপায়ে দ্রৌপদী লজ্জানিবারণ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, তাহা অধিকাংশ সময়েই বলিয়া থাকেন। এই সকল পৌরাণিক আখ্যায়িকার অন্তরালে যে মহাসত্য নিহিত আছে তাহার রূপকাংশ বাদ দিয়া মিষ্ট কথায় সার তত্ত্ব বুঝাইয়া দেন।
(৯)
নিজে শান্ত না হইলে কখনও শান্তি পাওয়া যায় না। মানুষ শান্তিই খুঁজিয়া বেড়ায়, কিন্তু কি কৌশলে যে উহাকে লাভ করিতে হয় তাহা জানে না। ভাল মন্দ, জয় পরাজয় লইয়া থাকিলে কামনা বাসনা দূর হয় না এবং চিত্তের উদ্বেগ ও দৈন্য অপসারিত হয় না। ইহার ফলে চিরদিন হাহাকার ও ছুটাছুটি করিয়াই আমাদিগকে বেড়াইতে হয়। কেমন করিয়া প্রকৃত শান্তি লাভ করা যায়, কেমন করিয়া জন্মজন্মান্তরের জ্বালা জুড়াইতে পারা যায় এই প্রশ্ন স্বতঃই আমাদের মনে উদিত হয়। কিন্তু কয় জন ইহার মীমাংসা করিতে পারিয়াছেন? তিনি বলেন- নিত্য বস্তু বা স্বভাবের সঙ্গ না করিলে দুঃখের হাত হইতে এড়াইবার আর অন্য উপায় নাই। নিজের কর্তৃত্ববুদ্ধি একেবারে বিসর্জন করিতে না পারিলে শান্তিলাভ করা অসম্ভব। নিত্য বস্তু কি? যাহাকে কোনও প্রকারে ত্যাগ করা যায় না তাহাই নিত্য। যাহাকে ধরিয়া থাকিলে পাপ, তাপ, দুঃখ, যন্ত্রণা ভয়ে পালাইয়া যায় তাহাই নিত্য। এই নিত্যের সেবা করাই কৰ্ম্ম। প্রাণ নিত্য, যেহেতু তাহাকে ছাড়িয়া এক মুহূর্তও থাকা চলে না। যে প্রাণ জগতের আশ্রয় এবং যাহার ক্রিয়া বা স্পন্দনের বিরাম নাই, সেই প্রত্যক্ষসিদ্ধ প্রাণদেবতার সঙ্গ করিতে হয়। একটা কিছু আশ্রয় বা অবলম্বন না করিয়া সাধন- ভজনে অগ্রসর হওয়া যায় না। কাজেই যিনি সকলের আশ্রয়, সর্ব্বভূতের প্রাণ এবং সর্ব্বব্যাপক তাঁহারই আশ্রয় গ্রহণ করিতে হয়। এই জন্যই বৈষ্ণবেরা বলেন – ‘আশ্রয় লইয়া ভজে তারে কৃষ্ণ নাহি ত্যজে’। সর্ব্বাশ্রয় ভগবানের কথা তিনি অনেক সময় বলিয়া থাকেন। এই আশ্রয়কেই উপনিষদে বলা হইয়াছে ‘সর্ব্বলোক- প্রতিষ্ঠা’।
(১০)
আপনার উপর কর্তৃত্ব আরোপ করিয়াই মানুষ যত প্রকার দুঃখের সৃষ্টি কবে। স্বয়ং অকর্তা হইয়াও কর্তৃত্বের বৃথা অভিমানে সে অগণিত কষ্ট ভোগ করিয়া থাকে। আত্মার কর্তৃত্ব ও ভোক্তৃত্ব নাই। গীতায় বলা হইয়াছে – ‘অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্ত্তাহমিতি মন্যতে’। মানুষ যে নিজে কিছুই করিতে পারে না, বা করে না, সে যে যন্ত্রীর হাতে যন্ত্র ভিন্ন আর কিছুই নয় (ভ্রাময়ন্ সর্ব্বভূতানি যন্ত্রারূঢ়ানি মায়য়া)। ইহা সে প্রণিধান করিয়া উঠিতে পারে না বলিয়াই যত কষ্ট। প্রারব্ধ কর্ম্মের ফলে সুখ বা দুঃখ যখন যে প্রকার ভোগ আসিয়া উপস্থিত হয় অনুদ্বিগ্ন চিত্তে তাহাই সহ্য করিতে হয়। ভোগ না করিলে কৰ্ম্মফল ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না (প্রারব্ধকর্মণাং ভোগাদেব ক্ষয়ঃ)। শাস্ত্রকারগণ আরও বলিয়াছেন, ‘নাভুক্তং ক্ষীয়তে কৰ্ম্ম কল্পকোটি শতৈরপি’ অর্থাৎ ভোগ না করিলে কৰ্ম্মফল কোটি কল্পেও শেষ হয় না। অদৃষ্টবশে বা কৰ্ম্মবিপাকহেতু যে সকল বাধাবিঘ্ন বা বিপদ উপস্থিত হয়, তাহার মধ্যে ধীর স্থির হইয়া দাঁড়াইয়া থাকাই সর্ব্বাপেক্ষা বড় সাধনা। এই প্রকার ধৈর্য্যাবলম্বনের অভ্যাসের নাম হইল যোগ। যিনি নিরন্তর ভগবানে যুক্ত হইয়া থাকেন সেই যুক্তযোগীর মন কিছুতেই বিচলিত হয় না (গুরুণাপি বিচালত্যে)।
(১১)
যাহা সহজেই ত্যাগ করা যায় কিংবা যাহা উদয় হইয়াই অস্তমিত হয় সেগুলিকে ছাড়িয়া আত্মস্থ বা স্থিরপ্রজ্ঞ হওয়া আবশ্যক। অভাব আপনা হইতেই দূরে সরিয়া যায়, তাহাকে দূর করিবার জন্য আর চেষ্টা করিতে হয় না। ধর্মবৃক্ষের গায় অনেক পরগাছা, জন্মে। আমরা ধর্মের নামে নানাবিধ বৃথাচরণ করিয়া থাকি যাহার দ্বারা আমাদের ধর্ম জীবনের উন্নতি না হইয়া বরং অশেষ দূর্গতিই হইয়া থাকে। গুরুবাক্য সত্য। যাহা সত্য তাহাই গুরু। গুরুর উপদেশ মানিয়া চলিলে অপসিদ্ধান্ত ও মিথ্যা জিনিষগুলি সূর্যোদয়ে অন্ধকারের ন্যায় সহজেই বিদূরিত হইয়া যায় এবং শুদ্ধ সত্য ধৰ্ম্ম প্রদীপ্ত ভাস্করের মত প্রকাশিত হয়। গুরু দিব্য চক্ষু দান করিলে নিত্যানিত্য বস্তুবিবেক হইয়া থাকে। চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।
(১২)
তাঁহার সহিত যে কি সম্বন্ধ তাহা জানি না। জানিবার প্রয়োজনও হয় নাই। তবে সত্য কথা এই যে, তাঁহাকে বড় ভাল লাগে – প্রাণ ভরিয়া ভালবাসিতে ইচ্ছা হয়। তাঁহার স্বভাবসুন্দর মূর্তি, বাল- প্রকৃতি ও প্রাণস্পর্শিনী মধুর কথা সকলই প্রাণে আনন্দধারা বর্ষণ করে। তাঁহার মধ্যে কি জানি কি আছে যাহা সকলকেই আকর্ষণ করে, অল্পেই আপনার করিয়া লয়। একবার দেখিলে কেন জানি মন প্রাণ তাঁহার চরণে লুটাইয়া পড়িতে চায়। কলুষপঙ্কিল জীবনের যে কয়টি মুহূর্ত্ত তাঁহার সঙ্গে অতিবাহিত করিয়াছি তাহার পবিত্র স্মৃতি হৃদয়ে অঙ্কিত রহিয়াছে। প্রাণের আবেগে শেষে শুধু বলিতে ইচ্ছা হয় “তুয়াচরণে মন লাগহুঁ রে”। জন্মে জন্মে যেন তাঁহার – শ্রীচরণের দাসানুদাস হইতে পারি – ইহাই প্রার্থনা।