এই পুস্তকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে যে দু’তিন জন নিতান্ত অন্তরঙ্গ বন্ধুর নিকট হইতে কিছু কিছু সাহায্য পাইয়াছি এবং যাহাদের সহিত আলাপ আলোচনায় কোন কোন বিষয়ে আমার নিজের ধারণাগুলি মার্জিত ও দৃঢ়ীভূত হইয়াছে, তাহাদের নামোল্লেখ করিলে হয়তো বা একটা হাতাহাতিই হইয়া যাইবে, সুতরাং সে সম্বন্ধে আর কিছু বলিলাম না। প্রুফ-সংশোধনের ব্যাপারে সেন্ট্রাল ক্যালকাটা কলেজের অধ্যাপক স্নেহভাজন শ্রীমান তড়িৎকুমার মুখোপাধ্যায় এবং আমার তৃতীয়া কন্যা কল্যাণীয়া শ্রীমতী মৈত্রেয়ী আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছেন। এই কার্য্যে আমি নিজে অত্যন্ত অপটু, সুতরাং ইহাদের সাহায্য না পাইলে আমাকে অথান্তরে পড়িতে হইত। লক্ষ্মী-সরস্বতী প্রেসের কর্তৃপক্ষরা এই পুস্তক অত্যন্ত তৎপরতার সহিত মুদ্রিত করিয়া আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করিয়াছেন। ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজের অধ্যাপক স্নেহভাজন শ্রীমান লোকেশচন্দ্র চক্রবর্তীও এই ব্যাপারে আমাকে নানাভাবে সাহায্য করিয়াছেন।
আরও একটি কথা এইখানে বলিয়া রাখা সঙ্গত মনে হইতেছে। চন্দ্রবিন্দুর ( ঁ) ব্যবহারে আমি প্রচলিত নিয়মের কতকটা ব্যতিক্রম করিয়াছি। শ্রদ্ধাসূচক চন্দ্রবিন্দু আমি শুধু মহাজনদিগের সহিত সম্বন্ধযুক্ত সর্ব্বনামগুলিতেই ব্যবহার করিয়াছি, অন্যত্র করি নাই। অন্যান্য ক্ষেত্রে যেই যেই স্থলে “ইহারা, তাহারা” প্রভৃতি সর্বনাম কোন ক্রিয়ার কর্তারূপে ব্যবহৃত হইয়াছে, শুধু সেই সেই স্থলে ক্রিয়াপদের সহিত সঙ্গতি রক্ষার জন্য প্রয়োজনানুসারে চন্দ্রবিন্দু জুড়িয়া দিয়াছি।
২৪শে ভাদ্র ১৩৬৩
ইতি,
গ্রন্থকার