চৌমুহনী বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য কেন্দ্র ও শহর। এটি বেগমগঞ্জ উপজেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র। শহরটি নোয়াখালী জেলার সবচেয়ে বড় ও উন্নত শহর। যে স্থানে এই আশ্রমটি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে তাহা চৌমুহনী হাটের দক্ষিণদিকের মাঠের অংশ বিশেষ, নোয়াখালী জেলার চারিদিক হইতে খালগুলি আসিয়া এখানে মিলিত হইয়াছে বলিয়া এই স্থানকে চৌমুহনী বলে।
১৩৪৯ সনের আষাঢ় মাসে শ্রীশ্রীঠাকুর কলিকাতায় শ্রীযুক্ত উপেন্দ্র সাহাকে জানাইলেন যে তাঁহার কিছুদিন খুব নিরিবিলি থাকার প্রয়োজন। এই কথা শুনিয়া শ্রীযুক্ত উপেন্দ্র সাহা তাঁহাকে জানাইল যে চৌমুহনীতে তাহাদের একটি বাংলো খালি পড়িয়া আছে। ঠাকুর দয়া করিয়া তথায় থাকিতে ইচ্ছা করিলে তাহারা অবিলম্বে তথায় তাঁহার বাসস্থানের ব্যবস্থা করিতে পারে। শ্রীশ্রীঠাকুরের সম্মতি সাপেক্ষে শ্রীযুক্ত উপেন্দ্রবাবু তাঁহার পরম স্নেহাস্পদ ভ্রাতা শ্রীযুক্ত নরেন ভূঁইয়াকে অতিসত্তর প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে বলেন এবং বাংলোটির প্রয়োজনীয় কিছুটা সংস্কার করিয়া তিন-চার দিনের মধ্যেই বাসপোযোগী করিয়া তুলেন।
উপেন্দ্রবাবু শ্রীশ্রীঠাকুরকে নিয়ে সেই বাংলোবাড়িতে উপস্থিত হইলেন। সেই সময় হইতে প্রায় সাত বৎসর অর্থাৎ ১৩৫৬ বাং সনের ১৮ই বৈশাখ তাঁহার তিরোধানের দিন পর্য্যন্ত অধিকাংশ সময়ই তিনি ঐ স্থানেই বাস করিয়াছেন, যদিও অল্প কয়েকদিনের জন্য তিনি এ জেলার ও অন্যান্য জেলার কোনও কোনও স্থানে মাঝে মাঝে যাতায়ত করিতেন।
শ্রীশ্রীঠাকুর এই স্থানে পদার্পন করার পর কয়েক মাস ঐ বাংলোর ও কম্পাউন্ডের দরজা প্রায় সকল সময়েই বন্ধ থাকিত। নেহাৎ সেবাকারী ছাড়া অন্য সকলেরই বাংলোতে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। ক্রমে বহুদূরাগত ভক্তদের মনোবাসনা পূরণের জন্য অথবা অন্য কারণে যাহা একমাত্র ঠাকুরই জানেন ঐ রুদ্ধ দ্বার মাঝে মাঝে খুলিতে লাগিল। এই স্থানে থাকাকালে ঠাকুর ভোরে উঠিয়া হাতমুখ ধোওয়ার পর কিছুকাল ঘরের বারান্দায় পায়চারি করিতেন। তৎপর একখানা বাংলা সংবাদপত্র পড়িতেন। কেহ তাঁহার দর্শন অথবা উপদেশবাণী শ্রবণ করিবার জন্য আসিলে অনতিবিলম্বে ঐ পত্রিকা পড়া বন্ধ করিয়া তাহাকে তাঁহার প্রার্থনানুযায়ী উপদেশ দিতেন। নেহাৎ অসুস্থ না হইলে প্রাতে প্রায় এগারোটার সময় কথা বন্ধ করিয়া শ্রীশ্রীঠাকুর উপস্থিত ভক্তগণকে আহার করার জন্য শ্রীযুক্ত উপেন্দ্র অথবা নরেন ভূঁইয়ার বাড়িতে যাইতে বলিতেন। সময় সময় ইহাও বলিতেন যে, ঐ বাড়ীও আপনাদেরই। সুতরাং সংকোচের কোনও কারণ নাই, ভক্তগণও ঐ নির্দ্দেশ অনুযায়ী তাঁহাদের সাদর আতিথ্য গ্রহণ করিয়া পরম তৃপ্তিলাভ করিত।
১৩৫৬ বঙ্গাব্দের ১৮ই বৈশাখ, রবিবার পুণ্য অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে মাহেন্দ্রক্ষণে ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের পহেলা মে অগণিত ভক্তের প্রাণের ঠাকুর নশ্বর দেহ ত্যাগ করিয়া অপ্রকট হইলেন। ৯০ বৎসর পূর্বে এই শুভ অক্ষয় তৃতীয়ায় তিনি মাতৃজঠরে প্রবিষ্ট হইয়াছিলেন, ঠাকুর নিজ মুখেই ইহা ব্যক্ত করিয়াছিলেন। দেহরক্ষার পূর্ব দিন রাত্রিতে ঠাকুর যখন শয়ন করিবেন, তাহার পূর্বক্ষণে উপেন বাবু ও নরেন বাবুকে বলিলেন, “গত রাত্রিশেষে আমি তন্দ্রার ঘোরে দেখিলাম চন্দ্রলোক হইতে একখানা রথ নামিয়া আসিল, আমি তাহাতে উঠিয়া এখান হইতে চলিয়া গেলাম।” ঠাকুর পদ্মহস্ত তাঁহাদের মাথায় রাখিয়া আশীর্বাদ জানাইলেন, কখন বা চিবুক ধরিয়া আদর জানাইলেন এবং মঙ্গল কামনা করিলেন।
পরদিন প্রাতে ঠাকুর সম্পূর্ণরূপে উলঙ্গ হইয়া শুইয়া আছেন – কণ্ঠের তুলসীর মালা, পরিধানের কৌপিন ও বহির্বাস, গায়ের অঙ্গ রাখা ইত্যাদি ইহলোকের যাবতীয় বেশভূষা মেঝের উপর পড়িয়া আছে। তিনি যেন ইহসংসারের সর্বপ্রকার বন্ধন হইতে মুক্ত – যে কাজে আসিয়াছিলেন সে কাজই পুনরায় গ্রহণ করিয়াছেন। উত্তর শিয়র হইয়া শুইয়া আছেন। শরীরে বিশেষ কোন গ্লানি আছে বলিয়া মনে হইল না। উপেন বাবু পাশে বসিয়া ঠাকুরের অনুমতি সাপেক্ষে মকরধ্বজ দিতেছিলেন। হঠাৎ দেখিলেন ঠাকুরের দেহ অসাড়, গলায় একটু ঘড় ঘড় শব্দ শুনিতে পাইলেন। তৎক্ষণাৎ ডাক্তার ডাকা হইল। তিনি পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন প্রাণবায়ু চলিয়া গিয়াছে। মুহূর্তে প্রলয় ঘটিয়া গেল। সে শোকাবহ বার্তা চারিদিকে বিস্তৃত হইয়া পড়িল। দেখিতে দেখিতে সহস্র নর-নারী ঠাকুরের পরিত্যক্ত দেহ শেষ দেখার জন্য বাংলোর আঙ্গিনায় আসিয়া উপস্থিত হইল। টেলিগ্রামে দূরবর্তী স্থানে সংবাদ পাঠান হইল। দূরাগত ভক্তগণ শেষ দর্শনে বঞ্চিত না হন – সে উদ্দেশ্যে দুইদিন পর্যন্ত দেহ রাখিয়া দেওয়া হইল। ঐ দুই দিবস দেহ কোমল ও অবিকৃত রহিল। মনে হইল ঠাকুর যেন শান্তিতে নিদ্রা যাইতেছেন।
ঠাকুরের পাঞ্চভৌতিক দেহ দাহ কি সমাধিস্থ করা হইবে এবং সে কার্যটি কোথায় সম্পন্ন করা হইবে, এই প্রশ্নের সমাধান বিষয়ে ভক্তগণের মতভেদ উপস্থিত হইল। উপেন্দ্র বাবু ও নরেন্দ্র বাবু বলিলেন, ঠাকুর একদিন বলিয়াছিলেন তাঁহার দেহ যেন চৌমুহনী আশ্রমেই সমাধিস্থ করা হয়। পক্ষান্তরে ফেনীর ভক্তগণ বলিলেন, ঠাকুর বলিয়াছিলেন, “দেহ হইতে প্রাণ বাহির হইয়া গেলে এই পাঞ্চভৌতিক দেহ ত্যজ্য পদার্থে পরিণত হয়, তখন ইচ্ছা হয় ইহা মাটিতে পুঁথিয়া রাখেন, ইচ্ছা হয় নদীতে ভাসাইয়া দেন, ইচ্ছা হয় আগুনে ভষ্ম করিয়া ফেলেন।” ঠাকুরের কথায় এইরূপ ইঙ্গিত ছিল যে, তাঁহার দেহ ফেনীর মাটিতেই রাখা হয়। মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ শ্যামাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের উপর এই সমস্যা সমাধানের ভার ন্যস্ত হইল। তিনি কিয়ৎকাল ধ্যানস্থ থাকিয়া এই প্রত্যাদেশ পাইলেন যে, চৌমুহনীতেই সমাধিস্থ করা হইবে। সকলে সন্তুষ্ট চিত্তে এই মীমাংসাই স্বীকার করিয়া লইলেন।
বাংলোর যে কক্ষে ঠাকুর বাস করিতেন সে কক্ষই সর্বসম্মতিক্রমে সমাধিক্ষেত্র নির্বাচিত হইল। অতি অল্প সময়ের মধ্যে তাঁহারই কৃপায় চারি হাত দৈর্ঘ্য, চারি হাত প্রস্থ ও চারি হাত গভীর একটি গর্ত করিয়া এবং তাহার চতুর্দিক ও নিম্নভাগ ইট, সুরকী ও সিমেন্ট ইত্যাদি দ্বারা বেশ শক্ত করিয়া বাঁধাইয়া, ঠাকুর যে খাটে, যে শয্যায় এবং যে মশারীর নীচে শয়ন করিতেন সেই সব জিনিষ সহ এবং তাঁহার নিত্য ব্যবহার্য আরও কতকগুলি জিনিষ পাশে রাখিয়া চিরভক্ত বাঞ্ছিত পবিত্র দেহ সমাধিস্থ করা হইল। এবং গৃহ ভিত্তি হইতে দুই হাত উচ্চ এক বেদি নির্মাণ করিয়া সমাধি ঢাকিয়া দেওয়া হইল। মহাপ্রয়াণের পূর্বে ঠাকুর উপেন্দ্র বাবুকে একখানা নিত্য ব্যবহার্য কম্বল দেখাইয়া বলিয়াছিলেন, “গঙ্গার পাড়ে ঠাণ্ডা বাতাস, এই কম্বলখানা যেন সঙ্গে দেন।” কিন্তু প্রবল মানসিক চাঞ্চল্য হেতু উহা দিতে কাহারও স্মরণ ছিল না। ভক্তগণ একদিকে শোকাশ্রু, অপর দিকে প্রেমাশ্রু বিসর্জন করিতে করিতে হরিনাম কীর্তন ও মুহুর্মুহু হুলুধ্বনির মধ্যে সেই পরম পবিত্র, একান্ত বাঞ্ছিত ও চির সেবিত দেহখানা সমাধিস্থ করিলেন।
ঠাকুর ভক্তগণের লোক চক্ষুর অন্তরালে গিয়াছেন সত্য, কিন্তু তাঁহাদের হৃদয়ে যে আসন পাতিয়া বসিয়া আছেন, তাহা হইতে কখনও অন্তর্হিত হইতে পারিবেন না। আমরা আজ আবার নূতন করিয়া সে প্রার্থনাই তাঁহার উদ্দেশ্যে নিবেদন করিতেন। তাঁহার শিক্ষা আমাদের যাত্রাপথে সহায় হউক।
দেহ রক্ষার একাদশ দিবসে ভক্তগণ সমাধিক্ষেত্রে এক বিরাট মহোৎসবের আয়োজন করিয়াছিলেন। নানা দেশ হইতে প্রায় পঞ্চাশ সহস্র লোকের অধিক জনসমাগম হইয়াছিল। নামযজ্ঞ, পূজা, আরতি, ভোগ রাগাদি মহা সমারোহে সুসম্পন্ন হইল। মহোৎসবে বিরাট জনতার প্রত্যেক ব্যক্তি প্রসাদ পাইয়া পরম তৃপ্তি লাভ করিয়াছিল এবং শ্রীনাম সংকীর্তনও বহু প্রহর অবিচ্ছিন্নভাবে চলিয়াছিল।
তিনি যে গৃহে ছিলেন তাহা যথাসম্ভব তদবস্থায় রাখা যদিও সকলেরই বাঞ্ছিত ছিল, কিন্তু আলোচনার পর নূতন একটি সুরম্য ইষ্টক নির্মিত মন্দির নির্মাণ করাই সাব্যস্ত হইল, কারণ ক্ষয়শীল টালির ছাদের ও বাঁশের বেড়ার ঘর খুব বেশি দিন ঠিক অবস্থায় রাখা অসম্ভব। সুতরাং উপস্থিত ভক্তমাত্রই নূতন পাকা মন্দির নির্মাণ করাই স্থির করিল।
অতি অল্প সময়ের মধ্যেই শ্রীশ্রীঠাকুরের আশ্রিত কুমিল্লা ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ার শ্রীযুত সুধীররঞ্জন সেন মহাশয়ের দ্বারা সুচিন্তিত একটি সুন্দর প্ল্যান (নক্সা) প্রস্তুত করাইয়া বর্তমান সুরম্য মন্দির নির্ম্মিত হইল। ঐ মন্দিরটির চতুর্দ্দিক ঘেরিয়া খোলা প্রশস্ত বারান্দা সমাধিস্থান প্রদক্ষিণ করার বিশেষ সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। সম্মুখের অর্থাৎ দক্ষিণ দিকের বারান্দা এমনই প্রশস্ত যে, প্রায় একশত লোক তথায় বসিয়া পরমানন্দে কীর্ত্তনাদি করিতে পারে। তথায় প্রত্যহই সকাল, মধ্যাহ্ন ও সন্ধ্যায় পূজা আরতি আদির সময় কীর্ত্তন হইয়া থাকে। মন্দিরের ঠিক মধ্যস্থলে সমাধিস্থানের উপরে চারফুট উচ্চ সুবৃহৎ ইষ্টক নির্ম্মিত বাঁধানো স্থানের উপরিভাগ বিভিন্ন সময় নানা সুন্দর বর্ণের কাপড় দ্বারা ঢাকা থাকে।
ঐ মন্দির সর্ব্বোচ্চ গম্বুজ সহ ৭২/৭৩ ফিট উঁচু হইয়াছে। সর্ব্বোচ্চ গম্বুজের উপর ইলেকট্রিক লাইট স্থাপন করায় তাহা বহুদূর হইতে দৃষ্ট হয় এবং উৎসবাদির সময় মন্দিরের গায়ে নানা স্থানে ইলেকট্রিক বাল্ব লাগাইয়া আলোকিত করিলে অতি মনোরম প্রতিভাত হয়। মন্দিরাভ্যন্তরে এবং বারান্দায় নানা শাস্ত্রবাক্য উদ্ধৃত করিয়া সুন্দরভাবে লেখা হইয়াছে। মন্দিরের সম্মুখে “জয় গোবিন্দ” এমন সুন্দর বৃহদাকারে লেখা হইয়াছে যে, তাহা বহুদূর হইতে দৃষ্ট হয় এবং শ্রীশ্রীঠাকুরের শ্রীচরণ ভক্তগণ স্পর্শ করিলে তিনি যাহা বলিয়া আশীর্ব্বাদ করিতেন সেই অতি পবিত্র মধুর আশীর্ব্বাদ বাণীর স্মৃতি জাগ্রত হইয়া তাহাদিগকে আনন্দে আপ্লুত করে।
এই মন্দিরের সম্মুখে ইষ্টক নির্ম্মিত অত্যন্ত বৃহৎ ও সুন্দর একখানা নাটমন্দির প্রস্তুত করা হইয়াছে। তাহাতেও তারকব্রহ্ম নাম ও শাস্ত্রবাক্য অতি সুন্দরভাবে লেখা হওয়ায় উহার সৌষ্ঠব অধিকতর বৃদ্ধি পাইয়াছে। ঠিক ঐ প্রকারের সুন্দর নাট মন্দির বাংলাদেশে অতি বিরল। এই আশ্রমের সুবৃহৎ কম্পাউন্ডের মধ্যেই মহোৎসব রান্নার প্রকাণ্ড ঘর। যাত্রী নিবাসাদি অনেকগুলি ঘর অতি শৃঙ্খলার সহিত নির্ম্মিত হইয়াছে এবং সম্পূর্ণ কম্পাউণ্ড উচ্চ প্রাচীরে ঘেরা হইয়াছে।
চৌমুহনীর বহু ভক্তের প্রাণ এই আশ্রমেই পড়িয়া থাকায়, ইহা প্রকৃতই আনন্দধামে পরিণত হইয়াছে। এখানে কখনো কোন অর্থাভাবের কথাও শোনা যায় নাই। শ্রীশ্রীঠাকুরই সকল সময় সমস্ত অভাব পূরণ করিতেছেন, সুতরাং অর্থ সংগ্রহের জন্য তাহাদের কোন প্রয়াস পাইতে হয় না। তাঁহার কৃপায় প্রতি বৎসর প্রায় ৪০/৫০ হাজার লোক সমাধি উৎসবে ৩/৪ দিন ব্যাপিয়া কীর্ত্তনাদি শ্রবণ ও প্রসাদ গ্রহণ করা সত্ত্বেও কোন বৎসরই উৎসবের পর অর্থের ঘাটতি দৃষ্ট হয় নাই।
নানা জাতীয় ফল ও ফুলে শোভিত এই আশ্রমখানা বস্তুতঃই মনোমুগ্ধকর ও আধ্যাত্মিক উন্নতি ও শক্তি আহরণে প্রকৃষ্ট স্থান সন্দেহ নাই। শ্রীশ্রীঠাকুরের স্মৃতি জাগ্রত হইয়া ভক্তমাত্রকেই এখানে পরম আনন্দে আপ্লুত করে।
চৌমুহনী, নোয়াখালী সমাধি মন্দির এর মানচিত্র নিম্নে দেওয়া হলো –